পুজোর দিনগুলো আপনার কেমন কাটে?
সাধারনত পুজো বেশ ব্যস্ততাতেই কাটে। বেশ কিছু ছবির কাজ থাকে। নানা জায়গা থেকে আমন্ত্রণ থাকে। গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স থাকে। তাছাড়াও তিন জায়গাকে সমান ভাবে দিতে হয়। দিল্লি, মুম্বাই থেকে আমন্ত্রণ থাকে, সেখানেও যেতে হয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। বন্ধু, বাবা, মা ভাই- বোনেদের সঙ্গে আগে একসঙ্গে কাটাতে পারতাম। এখন তা আর হয়না। তবে চেষ্টা করি বাড়ির সকলের সঙ্গে সময় কাটাতে। যেটা খুব চেষ্টা করি তা হল অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে। অনেক সময় এমন হয়েছে যখন শুটিং এর জন্য বাইরে আছি, ঠিক খুঁজে খুঁজে বের করে নিয়েছি কোথায় অঞ্জলি দেওয়া যায়। একবার চেন্নাইতে রয়েছি কাজের জন্য, অষ্টমীর দিন সকালে ঠিক সময় বের করে অঞ্জলি দিয়েছি।
পুজো মানেই প্রেম, এটা তোমার কাছে কতটা সত্যি?
এটা এমন একটা বিষয় যেটা সকলের সঙ্গেই ঘটেছে। বলতে দ্বিধা নেই এই ঘটনাতে আনন্দও পেতাম। এইগুলো সেই সময়কার ঘটনা যখন ফ্রক ছেড়ে শাড়ি পরার সময়। পুজোর সময় এটা একটা প্রতিযোগিতা। কে কার দিকে তাকালও, কতজন ভাল বলল। পাড়ার হিরোদের রিঅ্যাকশান কি। এইগুলো আমাদের ছোটবেলায় ছিল। এখনকার ছোটবেলাতেও আছে।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তো ব্যস্ত, কিন্তু মা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কি করেন পুজোর সময়?
আমি পুজোতে সবসময়ই চাই বাড়িতে সময় দিতে। কারন আমার ছেলে বাইরে পড়াশোনা করে। এই সময় ও বাড়িতে আসে। আর আমার মেয়ে তো এখন খুব ছোট। ও মাকে আঁকড়ে থাকতে চায়। মা কি করছে, কোথায় যাচ্ছে। সব মিলিয়ে মা আর সন্তানদের সম্পর্কটা আরও গভীর হয়েওঠে।
পুজোর পর তোমার নতুন প্রোজেক্ট কি পাচ্ছি?
পুজোতে সব থেকে বেশি উৎসাহিত “ভালবাসার বাড়ি” নিয়ে। তরুণ মজুমদারের অসাধারণ কাজ আবার সামনে আসছে। পরপর কিছু রিলিজ আছে হরনাথ চক্রবর্তীর ধারাস্নান। রেশমি মিত্রের বারান্দা। পুজোর মধ্যেই বাংলাদেশ কলকাতা করতে হয়েছে। তাছাড়া কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এর ছবির কিছু কাজ আছে। পুজোতেই তার শুটিং ছিল। তারপরেই পারি দেব বোম্বে। লখনউতে শুট আছে। তারপর কমলেশ্বর দার ছবির কাজ আছে। সুতরাং পুজো বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটল।
যারা নতুন কাজ করছে তাদের জন্য কি বলবে?
আমি এইটুকুই বলব নিজের কাজের প্রতি প্যাশন, বিশ্বাস আর লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হয়। সফলতা চট করে আসেনা। কিন্তু সফলতা আসলে তাকে টিকিয়ে রাখতে জানতে হয়। কষ্ট করতে হয়। স্বপ্ন তো থাকেই কিন্তু স্বপ্ন ভেঙেও যায়। কিন্তু আবার স্বপ্ন ফিরে আসে।
তোমার জীবনে পুজো নিয়ে কোন ঘটনা আজও মনে পড়ে?
পুজোর সময় অনেক কিছুই ঘটতে থাকে। তবে একটা ঘটনা আজও খুব মনে পড়ে। আমি ছোট তখন, পুজোর কোনএকদিন পাড়ায় আমায় বলা হয়েছিল “আজ তুই কোথাও যাবি না। ফুল দিয়ে মেয়রকে স্বাগত জানাতে হবে”। আমি তো বেশ খুশি। সারা পাড়ার মধ্যে আমাকে বাছা হয়েছে। আজ সেই পাড়ারই আমি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার। ভাল লাগে যখন সকলে বলে “একদিন তুই মেয়রকে স্বাগত জানিয়েছিলিস, আর আজ তোর কথাতেই গভর্নর আসেন। এটাই জীবন, এটাই বাস্তব, এটাই পাওয়া।
(ছবি- কোয়েল পাল সিনহা, পোশাক- সোমা দাস, ইউরিস ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন)।
Facebook Comments