রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে একটি হিন্দু মন্দিরে আসা লোকজনদের ওপর হামলা চালায় খালিস্তানি সমর্থকরা। হামলাকারীদের হাতে ছিল খালিস্তানি পতাকা। তারা লাঠিসোটা নিয়ে মন্দিরে উপস্থিত লোকজনের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পিল আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান নিশান দুরাইপ্পা জনসাধারণকে সংযম দেখানোর আবেদন জানিয়েছেন।
কানাডায় একটি হিন্দু মন্দিরে ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। অটোয়াস্থ ভারতীয় হাইকমিশনও এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে ভারত বিরোধীরা সহিংসতা চালিয়েছে। আমরা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রণবীর সিং বিট্টু। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জনগণকে বিভক্ত করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে যেসব খবর আসছে তা কোনো এক ধর্মের নয়। হিন্দু, শিখ বা অন্য কেউই হোক, ট্রুডো সবাইকে বিভক্ত করেছেন।
এর আগেও কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে
কানাডার ব্রাম্পটন শহরে হিন্দু সভা মন্দিরের বাইরে কনস্যুলার ক্যাম্প স্থাপন করেছে হাইকমিশন। ভারতীয় নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে এই ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। এতে লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছিল।
খবরে বলা হয়েছে, 1984 সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গার 40 বছর পূর্ণ হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী খালিস্তানিরা সেখানে পৌঁছে লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
ভারতীয় সম্প্রদায় কিছুদিন ধরে কানাডায় হিন্দু মন্দির এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের টার্গেট করা নিয়ে উদ্বিগ্ন। গত কয়েক বছরে, গ্রেটার টরন্টো এলাকা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং কানাডার অন্যত্র হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে।
Facebook Comments