অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ। কিন্তু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ইউনূস সরকার নতুন আইন জারি করে ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখিকা তসলিমা নাসরিন আবারও ইউনূস সরকারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া সমালোচনা করেছেন।
তসলিমার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানির কথা উল্লেখ করে তসলিমা লিখেছেন:
ইউনূস এবং তার জিহাদি বন্ধুরা স্পষ্টতই ভারতবিরোধী। ভারত যদি চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আলু, পারওয়াল, লবণ, চিনি, গরু-ছাগল পাঠানো বন্ধ করে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ বাঁচার জন্য কী খাবে তা দেখতে চাই। পানি বন্ধ করলে, বিদ্যুৎ বন্ধ করলে কী হবে?”
তসলিমা আরও লিখেছেন:
“যদি ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন? ব্যবসা বন্ধ? জিহাদিদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে যদি পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনা বন্ধ করে দেয়? সেখানে লোকেরা কীভাবে তাদের জিহাদি পেশা চালিয়ে যায় তা দেখতে আকর্ষণীয় হবে।”
ইউনূসের ওপর সরাসরি আক্রমণ
এর আগে, বুধবার তসলিমা আরেকটি পোস্টে ইউনূসকে কটাক্ষ করেন, লিখেছেন:
“ইউনুস সাহেব, দেশে যেন কেয়ামত এসে গেছে, তবুও আপনি চোখ বুজে আছেন। একজন জনপ্রিয় হিন্দু নেতাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা রাতের আঁধারে নিরীহ হিন্দুদের আক্রমণ করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠায়। হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। আপনার প্রিয় ছাত্ররা লুটপাট করে, আর আপনি নীরব থাকেন।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সংকট
অন্যদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বাড়ছে
চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। তিনি বললেনঃ
“তিন মাসও পার হয়নি, রাস্তায় মারামারি শুরু হয়েছে। এটা কোন বাংলাদেশ!”
তিনি হাসিনা ও ইউনূস সরকারের শাসনকে ‘স্বৈরাচার’ বলে অভিহিত করেন।
https://x.com/taslimanasreen/status/1861919037170573373?t=UR3zCpMCq4O2Q9joSzmp9Q&s=19
তসলিমা নাসরিনের এসব পোস্ট এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটকে ফুটিয়ে তুলেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠছে।
Facebook Comments