জীবনের চেনা ছন্দের বন্ধনে আবদ্ধ না থেকে যাঁরা বেরিয়ে পড়েন, তাঁরা যেতে পারেন সাগরদ্বীপ। সাগরদ্বীপ মানেই কিন্তু সাগরমেলা নয়। মেলার সময় ছাড়াও সাগর তার স্বকীয়তায় উজ্জ্বল, বৈশিষ্টে স্বতন্ত্র। বিশাল সমুদ্রতট, সাদা মিহি বালির ওপর লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি খেলা, ইতিউতি পুণ্যার্থীদের সাগরস্নান এইসব ছবি আপনাকে মুগ্ধ করার পাশাপাশি বাংলার অন্যান্য সি-বিচগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।
ভোরের মিঠে আলোয় সাগরের রূপ অপরূপ সুন্দর। পায়ের তলায় ঠাণ্ডা মিহি সাদা বালির স্পর্শ। দূরে দিগন্তে সারি সারি মাছ শিকারীদের নৌকা ভেসে চলেছে। সূর্যের নরম আলোয় চিকচিক করছে সাগরের অথই জলরাশি। আকাশের ক্যানভাসে আলপনা এঁকে চলেছে নাম না জানা পাখির দল। কত মানুষের ঢল এই সাগরবেলায়। বিভিন্ন রঙের বৈচিত্র্য তাঁদের পোশাকে-আশাকে। বৈচিত্রময় তাঁদের কর্মকাণ্ড। কেউ পূজা তর্পণে নিবিষ্ট, কেউ বা পুণ্যস্নানে আপ্লুত, কেউ বা সৈকতে বসে শুধুই উপভোগ করে চলেছেন সুন্দর মুহূর্তগুলো। মূল আকর্ষণ কপিলমুনির মন্দির। মন্দিরের আকর্ষণ না থাকলে এখানকার পরিবেশ আপনাকে নিরাশ করবে না।
সারাদিনই মানুষের আনাগোনা এই সাগরদ্বীপে। সাধু, সন্ন্যাসী, গৃহী থেকে শুরু করে যুগ যুগ ধরে কত মানুষের পদচিহ্ন এসে মিশেছে এই সাগরদ্বীপে। মিশেছে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য, বিশ্বাসে আসা মানুষের স্রোত মানব সাগরে, যেখানে মিশেছে গঙ্গা সাগরে।
কিভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে ট্রেনে/বাসে কাকদ্বীপ। ভ্যানে গিয়ে ৮নম্বর লটঘাট। ভেসেলে নদী পেরিয়ে কচুবেড়িয়া। তারপর বাস বা অন্যান্য যানে সাগর।
কোথায় থাকবেন: ভারত সেবাশ্রম সংঘ, ওঙ্কারনাথ আশ্রম, কপিলমুনির আশ্রম। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ধর্মশালা, যুব আবাস এবং প্রাইভেট হোটেল রয়েছে।
Photographer – Kaushik Banerjee
Facebook Comments