জাতীয় কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে অনিরুদ্ধের স্ত্রী সংগীতশিল্পী কল্যাণী কাজী মারা গেছেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকেই শারীরিক কষ্টে ভুগছিলেন কল্যাণী কাজী। রক্তে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল তার। সেই সঙ্গে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
প্রথমে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের কাছে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে তাকে ভর্তি করা হলেও পরে এসএসকেএমএ স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মাল্টিঅর্গান ফেলিওর হয় তার। শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শিল্পী কল্যাণী কাজী।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ সালে তাকে ‘সংগীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
নজরুল সম্পর্কে বহু অগ্রন্থিত কাহিনী সর্বসমক্ষে নিয়ে এসেছিলেন কল্যাণী কাজী। তার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মহলও।
কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিখ্যাত এ নজরুল গীতি শিল্পীর মৃত্যুতে সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
প্রধানমন্ত্রী কল্যাণী কাজীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, ‘বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী এবং কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ তথা কাজী অনিরুদ্ধের স্ত্রী কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন।’
মমতা উল্লেখ করেন, ‘তার অসামান্য গায়কিতে গাওয়া নজরুলগীতি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখত। কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে সংগীতজগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি কল্যাণী কাজীর আত্মীয়-পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
শিল্পীর দুই পুত্র ও এক কন্যা রয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর, কল্যাণী কাজীর দেহ প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের পাইকপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর শনিবার কন্যা অনিন্দিতা কাজী আমেরিকা থেকে ফিরলে পার্ক সার্কাসে কল্যাণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
Facebook Comments