তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক ব্যানার্জি, সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সাথে দেখা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ইউপিতে, এসপি ভাদোহি আসনটি টিএমসিকে দিয়েছে। দুই নেতার মধ্যে পর্দার আড়ালে সমন্বয় এতটাই শক্তিশালী ছিল যে যখন সিএম নীতীশ কুমারকে ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন মমতা এবং অখিলেশ যাননি। রাজ্যসভার সাংসদ অধ্যাপক রাম গোপাল যাদব এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও অভিষেক ও অখিলেশের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অখিলেশ বলেন, পিডিএ-র লড়াই অনেক বড়। ইউপিতে এনডিএ ব্যাপক হারে জিতেছে। আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই। নেতাজি বেঁচে থাকলে সুখের ব্যাপার হতো। আমি কনৌজের মানুষকে অভিনন্দন জানাই।
অখিলেশ বলেন, ‘আমি অযোধ্যার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি নিশ্চয়ই তাদের দুঃখ-বেদনা দেখেছেন সময়ে সময়ে, মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি, অবিচার করা হয়েছে, সেই কারণেই অযোধ্যা ও আশেপাশের এলাকার মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলছেন, ‘এবার বিরোধীরা শক্তিশালী হবে এটা আনন্দের বিষয়। বিরোধীদের কণ্ঠ এবার দমিয়ে রাখা হবে না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জনগণের সামনে রাখা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন অগ্নিবীর চাকরি নিয়ে। সমাজবাদী পার্টি কখনই অগ্নিবীর ব্যবস্থা মেনে নিতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হয় ভিন্নভাবে, সরকার গঠন হয় ভিন্নভাবে। সংখ্যার জোরে সরকার গঠিত হয়। আমরা যে আসনগুলো আশা করছিলাম সেগুলো না পাওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের অনেক জায়গায় দেখা গেছে প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে প্রার্থীদের পরাজিত করেছে। ফররুখাবাদ এর একটি উদাহরণ, সেখানে পুরো প্রশাসন সরকারের পক্ষে কাজ করছিল। তাই সংখ্যাগত শক্তিতেই সরকার গঠিত হবে।
📌জানিয়ে রাখি বুধবার ভারত জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূলের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে গিয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের বাসভবনে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেখানে জোটের প্রায় সব দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সকালে অখিলেশের বাড়িতে যান টিএমসি সাধারণ সম্পাদক। তারা প্রায় 45 মিনিট ধরে আলোচনা করলেও দুজনের মধ্যে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে অভিষেক বলেন, এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে দুই দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে এত দীর্ঘ কথোপকথন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
Facebook Comments