অভিনয়ে আসা কি ভাবে?
আমি নাচ করতাম। এখনও করি। নাচ করতে খুব ভালোবাসতাম। অভিনয়ে আসার ইচ্ছে সবসময় ছিল। কিভাবে শুরু করব জানতাম না। আমার বাড়ির কাছে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-এর অফিস। ওখানে গিয়ে কথা হয়। “প্রাক্তন” করলাম তারপর, রাজ্য সরকারের অল্প দৈর্ঘ্যের ছবি “জয়ী”-তে অভিনয় করি। সেই প্রথম কাজ।
“প্রাক্তন”-এর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
স্টেজ পারফরম্যান্স করতাম ফলে ক্যামেরা কনসাসনেস কেটে গিয়েছিল। তবে শিখতে হয়েছিল অনেক কিছু। ডায়লগ কিভাবে বলতে হয়। আমি নিজেকে খুব লাকি মনে করি যে আমি নন্দিতাদি, শিবুদার কাছে কাজ শিখেছি। প্রথম শটই ছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর সঙ্গে, ফলে সব কিছুই অনেক আলাদা।
“চল কুন্তল” তোমায় প্রথম পাওয়া যায় নায়িকার চরিত্রে, কেমন ছিল অভিজ্ঞতা?
তার আগেই প্রাক্তন-এ কাজ করেছি। সেই প্রথম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর সঙ্গে কাজ, বুঝতেই পারছো কতটা চিন্তা, আর এক্সাইটেড ছিলাম। অভিনয়ের টেকনিক্যাল দিকটা শিখেছিলাম। তারপর চল কুন্তল। হ্যাঁ সেই প্রথম নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা। অভিজ্ঞতা সত্যি খুব ভালো ছিল। অনেক কিছু শিখেছি। শিখছিও প্রতি মুহূর্তে।
স্ট্রাগল পিরিয়ড কিভাবে ফেস করো?
স্ট্রাগল সব সময় চলতে থাকে। একটা সময় অভিনয় শুরু করাটা ছিল স্ট্রাগল এখন ভালো কাজ করতে পারাটা স্ট্রাগল। তবে আমি যে ডিরেক্টরদের সঙ্গে কাজ করেছি তারা প্রত্যেকেই সব সময় খুব সাহায্য করেছে। তবে এই মুহূর্তে মন থেকে চাই একটা কমার্শিয়াল ছবিতে নায়িকার চরিত্রে কাজ করতে। যেমন আবার বসন্ত বিলাপ-এ নায়িকার চরিত্রে কাজ করেছি।
সামনে তোমায় কি কি কাজ পাবো?
“হামি” তো সামনে আসছে। জুন মাসে থাকবে “আবার বসন্ত বিলাপ”। “শুভ নববর্ষ” আছে, আশা করছি ২০১৮ তেই পাবে। এখন আমার “আর্তনাদ”-এর কাজ চলছে।
কাজ করার সেরা অভিজ্ঞতা কি?
সব কাজেই কিছু না কিছু থেকেই যায়। তারমধ্যে “আবার বসন্ত বিলাপ” খুব বেশি করে মনে পড়ে। এমনিতেই এই ছবিটাই ছিল কিছুটা কমেডির। অন ক্যামেরা প্রচুর মজা হয়েছে। অফ ক্যামেরা মুনমুন দির সঙ্গে নানা রকম ভাবে হাসতে থেকেছি। সত্যি অন্য রকম ভাবে কাজ করা।
যদি অভিনেত্রী না হতে কি হতে?
এই রকম ভাবে কিছু ভেবে দেখিনি। অভিনেত্রীই হতে চেয়েছিলাম। কিছুই হয়ত হতে পারতাম না।
Photograph by- নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments