রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বাংলায় একটি আসনও জিততে পারেনি। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে হারের মুখে পড়েন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাকে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। শুক্রবার কংগ্রেসের বেঙ্গল ইউনিট বৈঠক ডাকে। বৈঠকে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়।
বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ার সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও প্রশ্ন উঠেছে। এ জন্য তৃণমূল পর্যায়ের নেতা এমনকি রাজ্যের বড় নেতাদেরও আস্থায় নেওয়া হয়নি। নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচনার বৈঠকে জেলা প্রধানরা জোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এর জন্য কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজেই সিপিএমের সাথে জোটের পক্ষে ছিলেন। উত্তরবঙ্গ ও নিজের জেলায় কংগ্রেসের অবস্থান মজবুত করতে তিনি সিপিএমের সমর্থন নেন বলে জানা গেছে।
এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধায়ক গোলাম আহমেদ মীরের কাছে রাজ্য নেতারা তাদের উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে জোটে দক্ষিণবঙ্গের কথা মাথায় রাখা হয়নি। এমনকি জেলা প্রধানদের বক্তব্যও শোনা হয়নি।”
এই নেতারা জানান, সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে তৃণমূল স্তরে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। নেতারা বলছেন, “আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” অধীর রঞ্জন চৌধুরীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জোট নিয়ে সমালোচনা হলে অধীর রঞ্জনও ব্যাখ্যা দেন। তিনি একা কাউকে দোষারোপ করতে পারেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার জবাব দেওয়া জরুরি ছিল।”
Facebook Comments