জন্ম কলকাতাতে, কাজের সূত্রে পাড়ি দেওয়া মুম্বাই। সেখানেই শুরু হয় স্ট্রাগল। লক্ষ একটাই, নিজের পরিচয়। তখনও অনুরাধা মনে মনে জানত, তার স্বপ্ন সে পূরণ করবেই। অনুরাধা মুখার্জি হয়ে উঠবে উঠবেই অভিনেত্রী।
হঠাৎ মুম্বাইতে পাড়ি দেওয়া কেন?
প্রথম থেকেই শুনতাম মুম্বাই স্ট্রাগল-এর শহর, স্বপ্ন পূরণের শহর। আমি বরাবরই স্ট্রাগল করতে রাজি ছিলাম, তাই মুম্বাইতে আসা।
মুম্বাই আর কলকাতা সত্যি কতটা আলাদা?
মুম্বাই আর কলকাতা শব্দটাই তো আলাদা। সব দিক থেকেই কিছুটা আলাদা তো আছেই। সবার আগে বলব মুম্বাই ব্যস্ততার শহর। এইখানে সবাই ছুটছে। মুম্বাই কাজকে কাছে টেনে নেয়। এখানে Groupism নেই। তবে হ্যাঁ এখানে কাজ শিখে আসতে হয়।
যারা নতুন, যারা এই প্রফেশনে আসতে চাইছে, তাদের কি বলবে?
ধৈর্য্য, শিক্ষা, আর নিজের উপর বিশ্বাস। যেকোন জায়গাতেই কাজ করোনা না কেন, এই তিনটে জিনিস না থাকলে কোনদিন সাফল্য আসবে না।
মুম্বাইতে কাজ করতে গেলে কোনটা মাথায় রাখতেই হবে?
নিজের কাজটা আগে ভালো করে জানতে হবে। কারণ যতদিন না নিজের কাজ সেরা জায়গায় পৌঁছে নিয়ে যেতে পারবে ততদিন অন্য কারোর ভালো লাগবে না। আর এখানে কম্পিটিশন অনেক বেশি। তাই ওখানে গিয়ে শিখে কাজ করবে এটা ভেবে গেলে খুব সমস্যা। আর যেটা মাথায় রাখতেই হবে তা হল হিন্দি আর মারাঠী খুব ভালো করে শিখতে হবে। বাঙালিদের নামে একটা বদনাম শোনা যায় বাঙালিদের হিন্দি প্রপার হিন্দি হয়না।
এতদিন ধরে ওখানে কাজ করছো, কলকাতাকে মিস করো?
কলকাতাতে আছে এক অন্য রকম ভালোবাসা, এটা কোথাও পাওয়া যায় না। কলকাতাতে কাজ শুরু করেছিলাম, স্ট্রাগল আর আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে পাড়ি দিয়েছি অন্য শহরে। কলকাতাতো সারাজীবন মনের মণিকোঠায় থেকে যাবে।
কলকাতায় আবার কবে পাওয়া যাবে তোমায়?
এখনই সবটা বলছি না, তবে কলকাতা আমায় ডাকছে। সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে কি থাকা যায়।
Photograph by- নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments