বাগডোগরায় অবস্থিত বলে এটা বাগডোগরা বিমানবন্দর নামে সকলের কাছে পরিচিত ছিল এমনকি এই নামই লেখা হতো। বাগডোগরা বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে।
পাশাপাশি বণিকসভা সিআইআইয়ের তরফে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। এই চিঠির মূল বিষয় হলো বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন। এদিকে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও চাইছেন বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) নাম পরিবর্তন হোক। এতে পর্যটনশিল্পেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শর্ত একটাই নতুন নামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে শিলিগুড়ি নামটা। বিষয়টি নিয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বাগডোগরা (Bagdogra Airport) নিতান্তই একটা আঞ্চলিক নাম। বাগডোগরা অঞ্চলটির সীমানা খুবই স্বল্প। এছাড়া শিলিগুড়ি নামটির সঙ্গে অনেকেই বর্তমানে পরিচিত। বাগডোগরা নামটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তি রয়েছে কিন্তু শিলিগুড়ি থাকলে অনেকেই জায়গাটি সঠিকভাবে বুঝতে পারবে। তবে দার্জিলিং লিখলে আবার পাহাড়ের কোনও বিমানবন্দর বলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
নতুন নামকরণের ক্ষেত্রে দুটি নামের প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। একটা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অপর নামটি হল তেনজিং নোরগে। দার্জিলিং পাহাড়ের মংপু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত। বিষয়টিকে মাথায় রেখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অনুযায়ী নামকরণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে আবার দার্জিলিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং নোরগের নাম। তাকে স্মরণ করে তার নাম অনুসারেও বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) নতুন নামকরণ হতে পারে। বিষয়টি কিন্তু সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে দিল্লির উপর। কেবলমাত্র আঞ্চলিক বা রাজ্যস্তর থেকে প্রস্তাব পাঠানো যেতে পারে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের মতো অফিস দরকার। এবার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এইসব ব্যবস্থাও থাকবে। কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের অফিসও খোলা হবে বাগডোগরায় (Bagdogra Airport)। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবেই বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং বিমানবন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে পরিণত হবে। তার জেরে রানওয়েকেও সম্প্রসারিত করা হবে। তার সঙ্গে হ্যাঙ্গারের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রথম পর্যায়ে ৭০ হাজার ৩৯০ বর্গমিটার আয়তনের নতুন টার্মিনাল তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা করা হয়েছে ৫০ হাজার বর্গমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। প্রস্তাবিত বিমানবন্দরে বছরে ১০ মিলিয়ন যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকবে। টার্মিনালটিতে এ-৩২১ বিমানের জন্য দশটি পার্কিং ব্যবস্থা, দুটি লিঙ্ক ট্যাক্সিওয়ে, মাল্টি লেভেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বাগডোগরা বিমানবন্দর নিয়ে উত্তরবঙ্গ নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
Facebook Comments