রাজধানী ছাড়াও দেশের ৪৭টি জেলায় গতকাল দিনভর বিক্ষোভ, অবরোধ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের হামলা-গুলি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার।
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর বুধবার রাতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা। এর সমর্থনে গতকাল দলে দলে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা।
কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের, আবার কোথাও সরকার–সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
গতকাল সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের সময় সংঘাত–সংঘর্ষে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রাজধানীর মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, পরিবহনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। ঢাকার সড়কে সকালের দিকে কিছু পরিবহন থাকলেও দুপুরের পর ফাঁকা হতে থাকে সব সড়ক। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সুত্র: প্রথম আলো
Facebook Comments