বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী সংরক্ষণ নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। এ আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১০৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া সহিংস আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা আপনাকে বলি যে এই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয় যখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের রাস্তায় এগোতে বাধা দেয় এবং ছাত্রদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। যা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।
কারফিউ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুক্রবার দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে এবং সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালীন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন। পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানো এবং রাজধানীতে সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ করার পরে এই ঘোষণা আসে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। কাদের বলেন, বেসামরিক প্রশাসনকে শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
◾ 1971 সালে, বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধে লড়ে যাওয়া সৈনিকদের সন্তান এবং আত্মীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে। কিন্তু বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এই সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করেছিল। এত কিছুর পরও এই আইনের বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর শিক্ষার্থীরা রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করে যা পরে সহিংস রূপ নেয়। আমরা আপনাকে বলি যে বাংলাদেশে 30 শতাংশ চাকরি যুদ্ধ বীরদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আছে। শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তাদের মতে, মেধার ভিত্তিতে চাকরি দিতে হবে।
Facebook Comments