অঙ্কিতা আজকের অঙ্কিতা মজুমদার কিভাবে হল?
আমি এইটুকু মানি আমি আজ যে জায়গাতেই পৌঁছই না কেন তা আমার পরিবার, আপনারা, সকলের আশীর্বাদ আর ভগবানের জন্য।
তোমার প্রথম কাজ কি?
স্টার জলসাতে মেঘের পালক বলে একটা সিরিয়াল হত। মনে আছে ওখানে আমি সেকেন্ড লিডে কাজ করেছিলাম। ওটাই আমার ফার্স্ট ব্রেক।
কাজ শুরু হওয়ার জার্নিটা কেমন ছিল?
খুব অদ্ভুত ভাবে আমার কাজ শুরু করা। অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন তো বরাবরই ছিল। আমি নদিয়ার পাল পাড়ার মেয়ে। ওখান থেকে কলকাতায় এসে কাজ করা আমার। আমি কাজ শুরু বিজ্ঞাপন দিয়ে। সেখান থেকেই কিছু জনের চোখে পড়ি। মেঘের পালকের যে হাউস ছিল “অপারস”-এ আমায় পাঠানো হয় অডিশন দেওয়ার জন্য। সেখানে সিলেক্টেড হয়ে যাই।
বেশ অনেক গুলো কাজ করেছ, কোন কাজটা এখনও মনে পড়ে?
আমি বলব আমার প্রথম কাজ “মেঘের পালক”। কারণ ওটা আমার প্রথম ক্যামেরার সামনে আসা। তখনও আমায় কেউ চেনেন না। অভিনয় করেছি কিন্তু টেকনিক্যাল ব্যাপার তখনও খুব একটা জানিনা। সেখান থেকেই শেখা, কি ভাবে কি করতে হবে। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো সন ওইখান থেকেই শেখা। তার আগে স্কুলে থিয়েটার করেছি কিন্তু সেই ভাবে তো কাজ করিনি। আর ওই চরিত্রটাও অন্য রকম ছিল। অনেক ইমোশন, নিজেকে প্রথম বার ক্যামেরায় দেখা সব মিলিয়ে “মেঘের পালক” আমার কাছে অন্য রকম কাজ ছিল।
কাজ শুরু করার স্ট্রাগল, আর কাজ চালিয়ে যাওয়ার স্ট্রাগল কোনটা বেশি শক্ত?
দুটোই শক্ত। প্রথম কাজ পাওয়াটা যেমন শক্ত, এখন হচ্ছে জায়গাটা পাওয়ার পর নিজেকে টিকিয়ে রাখার লড়াই। আমার মনে হয় এটা আরও বেশি শক্ত।
ছোটবেলার স্মৃতি বলতে কি মনে পড়ে?
ছোটবেলার কথা সব মনে নেই, কিছু কিছু জিনিস তো অবশ্যই মনে আছে। আমি ভুতে খুব ভয় পেতাম, মনে আছে বন্ধুরা ভুত নিয়ে আমায় খুব ভয় দেখাতো।
এই মুহূর্তে তোমার কি কাজ চলছে?
“কলকাতায় কোহিনূর” বলে একটা কাজ শেষ করলাম। একটা গোয়েন্দা গল্প। খুব ভালো কাজ হয়েছে। তাছাড়া কালারস বাংলায় কাজ করছি। “রাগিণী” এর চরিত্রে। এই চরিত্রটাও বেশ ভালো। অনেক গুলো শেড আছে। অনেকদিন এই প্রোজেক্ট চলছে। ফলে দর্শক যে এই কাজ ভালবাসছে তা বোঝা যাচ্ছে।
“জড়োয়ার ঝুমকো” এমন একটা কাজ ছিল, যে মেয়েরা গয়না কিনতে গিয়ে তোমাদের ডিজাইনের কথা মনে করেছে, তোমার সঙ্গে কি এমন কোন ঘটনা ঘটেছে?
গয়না নিয়ে এমন কোন ঘটনা নেই কিন্তু অন্য একটা ঘটনা আছে। এই সিরিয়ালে একটা মুহূর্ত ছিল যখন দেখাচ্ছে আমি মা হব। সেই সময় শপিং মলে গেছি, একজন ভদ্র মহিলা এসে বলেছিলেন, এই সময়টা খুব দরকারই সময়। নিজের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমে বুঝতে পারিনি কেন বললেন, পরে বুঝেছিলাম। এই ভাবে মানুষের মনে সকলে ঢুকে পড়ে।
গুরু দক্ষিণাতে তোমার যে চরিত্র সেটা নিয়ে কি বলবে?
এটা এমন একটা চরিত্র যেটা হয়ত সকলের কাছে খারাপ। কিন্তু দেখো প্রত্যেকেই তার ভালোবাসার মানুষের প্রতি একটু বেশি সচেতন আমিও তাই। আগেই বলেছি অনেক গুলো শেড আছে। তবে হ্যাঁ আমি আর কতটা ঝগড়া করতে পারি সেটা আমার স্ক্রিপ্ট রাইটার জানেন।
ছবি – নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments