পয়লা বৈশাখ মানে বাঙালিয়ানা । বাংলাকে নতুন ভাবে খুঁজে পাওয়া। বাঙালি আর পয়লা বৈশাখ-এর যখন কথা উঠছে খাওয়া দাওয়া কি ভাবে বাদ যায়। পেট পুজো ছাড়া বাঙালির মন কি কখনও ভালো থাকে। তাই হোয়াটস নিউ লাইফ গল্প করল তাদের সঙ্গে যাদের হাতের খাবার খাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি। কলকাতার তারকা শেফরা শোনালেন তাদের পয়লা বৈশাখ-এর কথা।
শেফ জয়ন্ত ব্যানার্জি – পয়লা বৈশাখ মানেই অদ্যপ্রান্ত বাঙালি মনভাব সব জায়গায়। হোটেলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার জন্য পয়লা বৈশাখকে পুজোর ব্যস্ততার মত পেয়েছি। তবে হোটেলেও কিন্তু এই দিনটাকে ঘিরে থাকত নানান ভালো লাগা। এই দিনে প্রত্যেকের ধুতি-পাঞ্জাবি পড়বে। চলবে রবীন্দ্রসঙ্গীত। আর খাওয়ায় থাকবে নতুন আর পুরাতনের মেলবন্ধন। আমার বড় হওয়া হয়ত একেবারে বাঙালির মত নয়, কিন্তু আমি তো বাঙালি তাই মনের কোথাও বাঙালিয়ানা তো থেকেই গেছে। হ্যাঁ তবে কাজের ব্যস্ততায় বাড়িতে এই দিন গুলোতে সময় দিতে পারিনি। তবে মায়ের হাতের রান্না, স্ত্রীর হাতের রান্না খেতেই হয় এই দিন গুলোতে। কখনও কখনও আমিও ওদের রান্না করে খাওয়াই। এইভাবেই কেটে যায় এই দিনটা।
শেফ স্বরূপ চ্যাটার্জি – পয়লা বৈশাখ মানে আজও প্রথমেই আসে নতুন জামা। ছোটবেলা থেকেই এই দিনটা সকলের কাছে এই ভাবেই আসে, আমার কাছেও তাই। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভাবনা নতুন করে আসে। আমার কাছে আমার নিজের কিছু তৈরিকে ঘিরে। আমরা বাঙালি কিন্তু আমরাই পুরনো মা-মাসিদের রান্না সময়ের অভাবে করে উঠতে পারিনা। কিন্তু বছরের কিছু কিছু সময় পুরনো রান্না খেতে ইচ্ছে করে। তাতে কাছের মানুষ গুলোকে নতুন ভাবে পাওয়া যায়। তাই এখন এই দিনটাতে নতুন কিছু রান্না করার চেষ্টা করি। একবারে নতুন রান্না নয়। পুরনো রান্নাকে নতুন ভাবে নিয়ে আসা। যেমন ধরুন মোচার ঘণ্টকে নতুন কিছু করব হয়ত।
শেফ দেবজিৎ ভদ্র– পয়লা বৈশাখ আমাদের শেফদের কাছে অন্য একটা ভালো লাগার দিন। নতুন বছরের শুরু। একেবারে বাঙালি খাবারে সেজে ওঠা। এমনিতেও এখনও গ্রামের দিকে এই দিনটাকে ঘিরে পুজো হয়। একটাই প্রার্থনা। সকলে যেন ভালো থাকে। আমরাও তাই আশা করি। নিজেদের হাতে বাঙালি খাবার সাজিয়ে তুলি। এইদিনটা যে বাঙালিদের কাছে ভালোবাসার দিন। নতুন করে পথ চলা সামনের দিন গুলোতে।
শেফ রঞ্জিৎ সাউ – পয়লা বৈশাখ মানে নতুন বছর। এই দিনটা প্রত্যেকেই চায় খুশি মনে কাটাতে। কারণ ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি বছরের শুরুর প্রথম দিনটা যেমন কাটে তেমনই যায় সাড়া বছর। তাই কেউ চান ভালো জায়গায় বেড়াতে যেতে। কেউ চায় ভালো কিছু খাবার খেতে। পরিবারের সকলকে নিয়ে কোথাও খেতে যেতেই পারে এই দিনটায়। ভালো করে দেখলে বোঝা যায় এই দিনটায় সকলেই চায় পুরনো খাবার খেতে। কিছুটা অথেনটিক। তাই আমরাও চেষ্টা করি পুরনো খাবারকে নতুন ভাবে উপহার দিতে।
শেফ পিন্টু চৌধুরী – পয়লা বৈশাখ মানে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। নতুন নতুন রান্না করা। আর খুশিতে কাটানো একটা দিন। বছরের শুরুর দিনটা ঘিরে থাকে অনেক আশা। নতুন করে সামনের দিন গুলোকে কাটানোর একটা প্রয়াস। আর বাঙালি যখন খাওয়াদাওয়া কিভাবে ভুলতে পারি। তাই এক কথায় পেট পুরে খেয়ে খুশি মনে কাটানোর একটা দিন।
ছবি – নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments