কিছুটা হলেও শক্তি হারিয়েছে সাইক্লোন দানা। আগে অনুমান করা হয়েছিল এটি ল্যান্ডফল করতে পারে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার মধ্যরাতে। কিন্তু এখন খুব সম্ভবত আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ল্যান্ডফল করতে চলেছে। এই মুহূর্তের যা আপডেট মিলছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো থেকে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হবে। রাত ৭টার মধ্যে সাইক্লোন দানা পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করে যাবে।
আগে অনুমান করা হচ্ছিল, সাইক্লোন দানা ওড়িশার ধামারাতে ল্যান্ডফল করতে পারে। কিন্তু এখন সেই অবস্থানে সম্ভবত যাবে না এই ঘূর্ণিঝড়। এটি পারাদ্বীপের খুব কাছে জাম্বু বলে একটি এলাকাতে ল্যান্ডফল করতে পারে আজ দুপুরে। আবহাওয়াবিদদের মতে, জলভাগে থাকা অবস্থাতেই দ্রুত শক্তি হারিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। তাই দ্রুত স্থলভাগে ঢুকতে চাইছে। ফলে এদিন দুপুরেই ল্যান্ডফল করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। শক্তি হারানোর ফলে বাংলায় এর প্রভাব অনেকটাই কমবে। তবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে দাপট দেখা যাবে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র।
এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। এই জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি দুর্যোগ বেশি পরিমাণে হবে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশ কালো করে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাংলায় আগামী সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। প্রচুর ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বেশি প্রভাব ফেলবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালিতে বেশি প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে এই সব সমুদ্র সৈকতগুলি থেকে পর্যটকদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
Facebook Comments