মেদিনীপুর সদরের চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুল থেকে এবারের মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করেছে যথাক্রমে আরজাউর মন্ডল ও কাইসমা খাতুন। ছেড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা আরজাউর মাধ্যমিকে ৬০৬ পেয়েছে মাধ্যমিকে। আরজাউরের বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত মার্কস যথাক্রমে, বাংলা-৮৪, ইংরেজি-৬০, গণিত-৯৯, ভৌত বিজ্ঞান-৯১, জীবন বিজ্ঞান-৯০, ইতিহাস-৮৭, ভূগোল-৯৫। আরজাউরের বাবা হাবিব মন্ডল অ্যাসবেসটাস্ ছাউনির কাঠামো তৈরির মিস্ত্রী, মা হামিদা বিবি গৃহবধূ। বাবার সামান্য রোজগারে কোন রকমে সংসার চলে আরজাউরদের। আরজাউর বিজ্ঞান নিয়ে নিজেদের স্কুলে পড়ে ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায়। আজাউরের আগামী দিনের পড়ার খরচ নিয়ে তাঁর বাবা-মা যেমন চিন্তিত, তেমনি চিন্তিত মামা অনুরুদ্দিন মন্ডল। অনুরুদ্দিন বাবুর কথায়, আরজাউরের নিজের পরিশ্রম ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় এই ফল হয়েছে। আরাজাউরের পড়া যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য সবরকম চেষ্টা করবেন বলে জানান অনুরুদ্দিন বাবু। আরাজাউরের এই ফলে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি খুশি গোটা ছেড়ুয়া গ্রাম।
অন্যদিকে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষায় ৪২১ পেয়ে ভাল ফল করেছে বিড়ি শ্রমিক পরিবারের কন্যা কাইসমা খাতুন। রাজার বাগান গ্রামের বাসিন্দা কাইসমার বাবা সারমান খাঁন আরও ৫-৬ জনের সাথে মিলে বিড়ি বাঁধার কাজ করেন। মা আনসুমা বিবি গৃহবধু। কাইসমার প্রাপ্ত মার্কস গুলি যথাক্রমে বাংলা-৮৮, ইংরেজি-৭৫, ভূগোল-৭৭, ইতিহাস-৮২, পুষ্টিবিদ্যা-৮৪, রাষ্ট্রবিজ্ঞান-৯০। কাইসমা’র ভাই সাহাদুল-ও নবম শ্রেণীর কৃতি ছাত্র। কাইসমা ভূগোল অনার্স নিয়ে পড়ে শিক্ষিকা হতে চায়। নিজে বেশিদূর পড়েননি সারমান খাঁন, কিন্তু মনে প্রাণে চান ছেলে-মেয়ের স্বপ্ন সাকার করতে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর্থিক অনটন। কাইসমার কৃতিত্বে খুশি গোটা রাজারবাগান গ্রাম। এই দুই ছাত্রছাত্রীর ফলে খুশি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু সিনহা, সহশিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, সহ শিক্ষক মাতুয়ার মল্লিক সহ অন্যান্য সকলে এবং তাঁরা তাঁদের ছাত্রীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরজাউর, কাইসমাদের কেউ সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের দফতরে।
১০/৮৬, বিজয়গড়, রিজেন্ট এস্টেট, কলকাতা – ৭০০০৯২
ফোন – +৯১ ৬২৯০২৩৩১০৯
ছবি সৌজন্যেঃ ছবি: সৌজন্যে সুদীপ কুমার খাঁড়া
Facebook Comments