ঐন্দ্রিলা আহমেদ। প্রয়াত বরেণ্য অভিনেতা বুলবুল আহমেদের কন্যা। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও শোবিজে কাজে ফিরেছেন তিনি। ফিরেই বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় শুরু করেছেন। মিডিয়ায় ফেরা ও কাজের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি
বিরতি নিয়েছিলেন কেন?
-আসলে শোবিজে কাজের থেকে বিরতি নেয়ার বিশেষ কোনো কারণ ছিল না। পরিবারকেই পুরোপুরি সময় দিয়েছি।
এখন আবার ফিরলেন কী মনে করে?
-আমার রক্তে অভিনয়। অভিনয় ছেড়ে দূরে থাকাটা আমার জন্য সম্ভব নয়। এটা আমার অনেক ভালোবাসার জায়গা। এখানকার মানুষও আমাকে যথেষ্ঠ ভালোবাসেন স্নেহ ও সম্মান করেন। বলতে পারেন এই ভালোলাগা আর ভালোবাসার টানেই ফিরেছি।
কিছুদিন কাজ করে আবার অনিয়মিত হয়ে যাবেন না তো?
-এবার আর সহজে যাচ্ছি না। এখন থেকে কম করলেও নিয়মিত কাজ করব। এবার কাজে ফিরে মনে হচ্ছে এ জায়গাটা তো আমার। এখানে আমাকে অবশ্যই নিয়মিত হতে হবে। এবং সে চেষ্টাই থাকবে এবার।
ফিরে এসে কী কী কাজ করলেন?
-রুবেল হাসানের ‘বিলাভড’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। পরে মাবরুর রশীদ বান্নাহ্র ‘সাংসারিক ভালোবাসা’, দীপু হাজরার ‘ফেইক লাভ’ ও কাজী সাইফ আহমেদের ‘আতঙ্ক’ নাটকে অভিনয় করলাম। এছাড়াও আরও দুটি নাটকের শুটিং শুরু করব। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি ।
বড় পর্দায় কাজ করার পরিকল্পনা আছে?
-সেটা তো অবশ্যই আছে। তবে সব ধরনের ছবি নয়। বাণিজ্যিক ছবিগুলোর জন্য আমি প্রস্তুত নই। আমার সঙ্গে এ ধরনের ছবি যাবেও না বলে মনে হয়। তবে তৌকীর ভাইয়ের ‘হালদা’, অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’ ও ফারুকী ভাইয়ের ‘ডুব’ এগুলো আমার সঙ্গে যাবে। তাই এ ধরনের ছবিতেই অভিনয় করার পরিকল্পনা আছে। তবে সেটা গল্প ও স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলে।
আপনি তো নাটকের গল্প এবং স্ক্রিপ্টও লেখেন। নির্মাণে আসার পরিকল্পনা আছে?
-এখন শুধু অভিনয়ই করতে চাই। তবে হ্যাঁ, আমার লেখা বেশ কয়েকটি গল্প ও স্ক্রিপ্ট নিয়ে নাটক নির্মিত হয়েছে। এখন সেখানেও অনিয়মিত। এটাতে নিয়মিত হতে হবে। আর পরিচালনায় এখনই নয়। আগে তো অভিনয় করি। এরপর যখন মনে হবে আমি পরিপক্ব হয়েছি, ক্যামেরার পেছনে দাঁড়ানোর যোগ্যতা হয়েছে, তখনই বিষয়টি নিয়ে ভাবব।
ছবি : ঐন্দ্রিলা
Facebook Comments