ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঝাড়গ্রামে। মৃত চিকিৎসকের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য (30)। তাঁর বাড়ি কলকাতায় । তিনি ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।
খবর পেয়ে ফ্ল্যাটে পৌঁছন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ মামদুল্লাহ হাসান এবং ঝাড়গ্রাম থানার আইসি ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন,মৃত চিকিৎসকের বাড়ি কলকাতায় । তিনি প্রায় এক বছর ধরে ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা এলাকার একটি হোটেলের পাঁচতলার ভাড়া ফ্ল্যাটে পেইংগেস্ট হিসেবে থাকছিলেন । আজ সকালেই কলকাতা থেকে এখানে এসেছিলেন । তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু তিনি বোধহয় ফোন ধরছিলেন না । তাঁর সহকর্মীরাও তাঁকে ফোন করছিলেন । হাসপাতালে তাঁর একট অপারেশন করার কথা ছিল ।” তাঁর স্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে এই হোটেলের ম্যানেজারকে এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় নামের তাঁর এক বান্ধবীকে ফোন করেছিলেন । শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় হোটেলে পৌঁছে ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান এবং পাঁচতলায় গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ রয়েছে । তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন চিকিৎসক ছিলেন । বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙে দেখা যায় তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন । সঙ্গে থাকা চিকিৎসকরা তাঁর পালস দেখেন । পালস না পাওয়ার পর থানায় বিষয়টি জানান তাঁরা । তারপরে আমরা এখানে পৌঁছে আমাদের যা নিয়ম রয়েছে তা পূরণ করার পর আমরা হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাই ।”
চিকিৎসককে কী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল এবং সেখান থেকে কি কি পাওয়া গিয়েছিল ? সেই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “চিকিৎসক বিছানার উপর শুয়ে ছিলেন। তাঁর শরীরের পাশে সিরিঞ্জ পাওয়া গিয়েছে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাঁর স্ত্রীকে আনুমানিক 12টার পর হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট করেছিলেন । সেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত, মানসিক, পেশাগত এবং পারিবারিক বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছুই লিখেছিলেন । ওই হোয়াটসঅ্যাপটি পেয়ে চিকিৎসকের স্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । তিনি মেসেজগুলি তাঁর বান্ধবীকে পাঠান । এই তথ্যটা আমরা তাঁর বান্ধবীর মোবাইল থেকে পেয়েছি। আমরা ওটা ধরেই তদন্ত করছি।
Facebook Comments