আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কাশ্যপ প্যাটেল ওরফে কাশ প্যাটেলকে নিয়ে আলোচনা বেশ জোরদার। বলা হচ্ছে, আমেরিকায় ট্রাম্পের আমলে কাশ প্যাটেলকে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রধান করা হোক বা ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় তিনি অন্য কোনও উচ্চপদ পাবেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ট্রাম্প ইতিমধ্যেই তাকে এই পদে নিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
আমরা আপনাকে বলি যে কাশ প্যাটেল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত, ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন আমেরিকান নাগরিক, যিনি 1980 সালে নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তবে তার শিকড় গুজরাটের ভাদোদরা থেকে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং বিভিন্ন সরকারি পদে কাজ করেছেন এবং পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি ট্রাম্পের আমলে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসবাদবিরোধী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিবের চিফ অফ স্টাফের পদও অধিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি আইএসআইএস এবং আল কায়েদার বিরুদ্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বলা হয়, ২০১৬ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে গঠিত কমিটিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কাজ করতে গিয়ে ট্রাম্পের তার প্রতি আস্থা বেড়ে যায় এবং তিনি সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করেন। আমেরিকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন, কাশ কখনই তার ধর্ম নিয়ে মজা করেননি। তিনি সময়ে সময়ে হিন্দুদের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন।
এ ছাড়া রাম মন্দিরের পবিত্রতা হলে তিনি প্রকাশ্যে রাম মন্দিরের সমর্থনে এসেছিলেন। বিদেশী মিডিয়ার নিন্দা করে তিনি বলেছিলেন যে মিডিয়া অযোধ্যার 50 বছরের কথা বলে যেখানে হিন্দু মন্দিরের ইতিহাস 5000 বছরের পুরানো এবং মিডিয়া তা বলা এড়িয়ে যায় যাতে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা যায়।
কাশ প্যাটেল বহুবার ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পকে শিশুদের মধ্যে জনপ্রিয় করতে তিনি দ্য প্লট এগেইনস্ট দ্য কিং নামে একটি বই লিখেছেন। এ ছাড়া তিনি “সরকারি গুন্ডা: দ্য ডিপ স্টেট, ট্রুথ অ্যান্ড দ্য ব্যাটল ফর আওয়ার ডেমোক্রেসি” নামে একটি বই লিখেছেন। এতে তিনি বলেছেন সরকারে কত ব্যাপক দুর্নীতি।
Facebook Comments