চীনা ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা Vivo’র বেশ কিছু কারখানা ও শোরুমে অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দেশজুড়ে ৪৪টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। Vivo’র সঙ্গে যুক্ত থাকা বিভিন্ন সংস্থার দপ্তরেও তল্লাশি চালানো হয়। সম্প্রতি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবেশী ‘শত্রু’ দেশটির অন্যতম সংস্থাটির ব্যবসার উৎসস্থল কোথায়, তা খতিয়ে দেখতেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই পদক্ষেপের পরই চীনা মোবাইল ফোন প্রস্তুকারক সংস্থার দপ্তরে হানা দিল ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, দিল্লি, হরিয়ানাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভিভোর বেশ কিছু কারখানা ও শোরুমে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। মূলত, লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে কোনোরকম অনিয়ম আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি ইডির। চলতি বছরের এপ্রিলেই Vivo’র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ভিভোর একজন প্রাক্তন পরিচালক, বিন লো, 2018 সালে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরে ভারত ছেড়ে পালিয়েছে। আরও অভিযোগ করেছে যে “কিছু চীনা নাগরিক সহ ভিভো ইন্ডিয়ার কর্মচারীরা তদন্তে সহযোগিতা করেনি উপরক্ত অনুসন্ধানকারীদের পুনরুদ্ধার করা ডিজিটাল ডিভাইসগুলিকে লুকানোর চেষ্টা করেছিল।
কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চীনা স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে। এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে Vivo’, ওপো, ওয়ান প্লাসসহ একাধিক চীনা সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। সেবার অন্তত ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ভিভোসহ একাধিক চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ ছিল।
সম্প্রতি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মে মাসেই দু’টি চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়। তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায় রয়েছে আরও এক চীনা সংস্থা।
আরেক চীনা সংস্থা শাওমি টেকনোলজি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। সংস্থাটি ভারতে এমআই ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বিক্রি করে। তাদেরই একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ৫ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ ভারতীয় রুপি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আরেক চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা জেডটিই’র দিকেও নজর রয়েছে কেন্দ্রের।
Facebook Comments