গোড়াতেই বলে নেওয়া ভালো এই লেখাটি ‘আমি আসব ফিরে ছবিটি নিয়ে ‘ইনফো শেয়ারিং নয়, সমালোচনা করা হল ৷ টেকনিক্যাল ভ্যালু বাদ দিলে ছবিটিকে দর্শকেরা সময় ব্যায় করে হয়তো দেখে উঠতে পারবেননা ।
কারসাজি : ‘সঙ্গীতের একটি বড় সাইকেডেলিক রক অনুপ্রেরণা আছে , কোনও কোনও ক্ষেত্রে গান দৃশ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে ।
রনোর ছেলে সঞ্জু রেপ করেছে রঞ্জনা নামের একটি মেয়েকে৷ সেই রঞ্জনা আবার রনোর বাড়িতে ভাড়া থাকে যে -অর্ক (অনিন্দ্য ), তার গার্লফ্রেন্ড৷ অর্ক জানে না রেপিস্ট সঞ্জু আসলে রনোর ছেলে৷ রনোর বউ মালা (অঞ্জনা ) রনোর সঙ্গে থাকে না , সে লিভ -ইন করে রনোর বন্ধু দীপকের সঙ্গে৷ তাদের সঙ্গে থাকে মালার অসুস্থ মা, মানে রনোর শাশুড়ি এবং দীপকের উডবি -মাদার -ইন ল৷ রঞ্জনার মা নেই, সে থাকে বাবা আর পিসির সঙ্গে৷ রঞ্জনার হয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছে উকিল গার্গী (স্বস্তিকা )৷ তার বর নেই৷ সে একা৷ তার মেয়ে উনা৷ সে লিভ -ইন করে গার্গীর এক্স বয়ফ্রেন্ড জোজার
দু-ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই জটিল সম্পর্কের ইক্যুয়েশনটা মাথায় রাখতেই হবে৷ নইলে ছবির গল্পের খেই ধরতে অসুবিধে হবে৷ স্টোরি ন্যারেশনের জটিলতাই মানুষকে এই ধরনের ছবি থেকে দুরত্ত তৈরি করতে পারে। কৌশিক সেন ও স্বস্তিকা মুখার্জির অভিনইয়ের যুগলবন্দী দৃশ্য মুখর করে তুলেছে ছবিটিকে ।
ছবির সিনেমাটোগ্রাফি প্রশংসনীয় লম্বা স্লো ট্রলি শটে অসাধারণ ম্যাজিক তৈরি হয়েছে । ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর আর ফলির সাউন্ড দৃশ্যের সাথে বসে নতুন মাত্রা দিয়েছে ।
ছবি যতক্ষণ চলেছে , ততক্ষণ ফ্রেমের ডান দিকের তলায় ধূমপান জনিত হুঁশিয়ারি বহাল রাখতে হয়েছে৷ কারণ , রনো , অর্ক, গার্গী, দীপক, মালা সবাই প্রতিটি দৃশ্যে লম্বা -লম্বা ‘সিগারেট’ পান করে গিয়েছে৷ কখনো কখনো এই সিগারেটের দৃশ্য মনোটোনাস লাগতে পারে ।
সর্ব মিলিয়ে ৫ টি তে ২.৫ সটি স্টার দেওয়া গেল ।
To read more review like our facebook page www.facebook.com/WhatsNewLife/
Photo – ইউটিউব সিনেস্থান
Facebook Comments