৪ বছর বয়সি এক শিশুর শরীরে পাওয়া গিয়েছে এইচ৯এন২। এর জেরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শিশুটিকে। এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।রিপোর্ট বলছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলার এক শিশুকন্যা প্রবল জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
তাঁকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপরেই জানা যায় তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছে বার্ড ফ্লু। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই শিশুকন্যার বাড়িতে একটি মুরগির ফার্ম ছিল। ফলে সেখান থেকে সে সংক্রমিত হতে পারে, এই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
শিশুটির জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেট খারাপের মতো উপসর্গ ছিল। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রায় তিন মাস ধরে তার চিকিৎসা চলে। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছে শিশুটি এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছে।
স্বস্তির খবর, ওই শিশুর পরিবারের কোনও সদস্যের মধ্যে এইচ৯এন২-র কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে শেষবারের মতো ২০১৯ সালে দেশের এক বাসিন্দার শরীরে পাওয়া গিয়েছিল এইচ৯এন২। প্রায় পাঁচ বছর দেশে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মেক্সিকোতে এই মাসেই এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, মেক্সিকোর ওই ব্যক্তির বয়স ছিল ৫৯ বছর। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসের মতো রোগে ভুগছিলেন। তিন সপ্তাহ অসুস্থ ছিলেন তিনি। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। বার্ড ফ্লু নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Facebook Comments