পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ের “ল্যাংচা” নাম শুনলেই জিভে জল আসে। এমনকি সুগার/ডায়াবেটিস রুগীদের খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। এই ল্যাংচা’র টানে বহু দূর থেকে মানুষ যান। অথচ সেই বিখ্যাত “ল্যাংচা” গড়ে সাংঘাতিক অভিযোগ। প্রশ্নের মুখে ল্যাংচা’র সুখ্যাতি। যা খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেকেই অসুস্থও হয়েছেন।
ল্যাংচা’র প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিবেশ বেসামাল। রান্নাঘরে কালিঝুল, কোনওদিন পরিষ্কার হয়নি। আরশোলা, পোকামাকড় রয়েছে। খাবার ঢাকা নেই।”
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন “আমরা গ্রামে গোডাউনেও যাই। পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন। আমি নিজে ছিলাম। চক্ষু চড়ক গাছ। কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা গত এক মাস ধরে ভেজে রাখা হয়েছে। ২১ জুলাই মানুষ আসবে, কিনে খাবে জানে। তারা তো আর অভিযোগ জানাতে যাবে না। ছত্রাক পড়ে গিয়েছে ল্যাংচায়। সেগুলি খেলে অবধারিত মানুষ অসুস্থ হবেন। ল্যাংচা ভাঙছি, ভিতরে ছত্রাক। প্রতিটা এরকম। তিন কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করতে হয়েছে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে সেগুলি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
দোকানে বাসি লেংচা ও মিষ্টি বিক্রির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতর, জেলা পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর এবং আইনি পরিমাপবিদ্যা দফতরের যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে অনেক দোকান থেকে বস্তায় রাখা বাসি ও ছত্রাকযুক্ত লেংচা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়, পাশাপাশি অবহেলাকারী ১৫ দোকানদারকে নোটিশ প্রদান করা হয়।
সোমবার, শক্তিগড় থানায় দুই অবহেলাকারী দোকানদার, গোপাল সরকার, ল্যাংচা নিলয় এবং সুব্রত দত্ত, আদি দত্ত সুইটসের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই দোকানদারদের বিরুদ্ধে আইপিসির ২৭২ এবং ২৭৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেছেন যে দোকানদারদের কালো পোড়া তেল ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কিছু দোকানদার এই নির্দেশ উপেক্ষা করে। এ ধরনের পোড়া তেল দিয়ে তৈরি জিনিস খেলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। লেংচা দোকানদারদের বিরুদ্ধে দায়ের করা FIR অন্যান্য দোকানদারদের সাথে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
Facebook Comments