বর্তমান যুগে নারীদের শিক্ষার প্রসার ঘটলেও স্বাধীনতার আগে কিন্তু আমাদের সমাজ এতটা উন্নত ছিল না। সেই সময় কোনও নারী যদি শিক্ষা গ্রহণ করতো তাহলে সেই সমাজ তাকে ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করতেও দুবার ভাবত না। তবে সেই সব প্রতিকূলতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের প্রথম মহিলা চিকিত্সক হয়ে ওঠেন বাঙালি মেয়ে কাদম্বিনী গাঙ্গুলি। আজ দেশের প্রথম মহিলা চিকিত্সকের ১৬০-তম জন্মবার্ষিকী। কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সম্মান জানাল বিশ্বের টেক জায়েন্ট গুগল।
ইতিহাসের পাতায় পাতায় কতই না কাহিনী। তবে, সেই সব কাহিনীর মধ্যে অন্যতম শিক্ষনীয় একটি কাহিনী কাদম্বিনী থেকে ডক্টর কাদম্বিনী গাঙ্গুলী হয়ে ওঠা। পুরুষশাসিত সমাজকে ভয় না পেয়ে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদন করেছিলেন কাদম্বিনী দেবী। উনিশ শতকের শেষদিকে পাশ্চাত্য চিকিত্সার লেখাপড়া শেষ করে ডাক্তারের ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
বিহারের ভাগলপুরে ১৮৬১ সালের ১৮ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন ডাঃ কাদম্বিনী গাঙ্গুলি।
আজ ১৮ই জুলাই দেশের প্রথম মহিলা চিকিত্সক কাদম্বিনী গাঙ্গুলির জন্মদিন। তাই আজ তাঁর ১৬০-তম জন্মবার্ষিকীতে বাঙালির তথা দেশের গর্ব কাদম্বিনীকে সম্মান জানাল বিশ্বের টেক জায়েন্ট গুগল। গ্রাফিক্সের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে সংস্থা।
বেথুন কলেজ থেকে প্রথম মহিলা হিসেবে স্নাতক পাশ করার পর ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নেন কাদম্বিনী। ইউরোপিয়ান মেডিসিন প্রয়োগে অনুশীলন শুরু করেন ১৮৮৬ সালে।
১৮৮৩ সালে মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়েন কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। পাশ করার পর, চিকিত্সা করার অনুমতি পান। ব্রিটিশ শাসনে পরাধীন ভারতে সফল মহিলা হওয়ার কারণে একাধিক বাধার মুখে পড়েও একাহাতে সংসার চালিয়ে অন্য হাতে চিকিত্সা করে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তোলেন তিনি।
Facebook Comments