৮ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার বাংলাদেশের রংপুর মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশের হিন্দুরা । বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের আয়োজনে এবং সনাতনী অধিকার আন্দোলন ও বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক নামে দুই গোষ্ঠীর সহযোগিতায় ওই মহাসমাবেশটির আয়োজন করা হয়েছিল রংপুরের মাহিগঞ্জ কলেজ মাঠে।
কিন্তু এই সভা বানচাল করার জন্য মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর জঙ্গিরা পুরোদমে চেষ্টা করেছিল । আজ যখন বাসে চড়ে হিন্দুরা সভাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিল সেই সময় তাদের উপর হামলা হয় । প্রচুর হিন্দু আহত হয়েছেন । কিন্তু ক্রমাগত সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের অত্যাচার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দুরা রক্তাক্ত আহত অবস্থাতেই সভাস্থলে পৌঁছেছিলেন । রংপুর জেলা স্কুল মাঠ থেকে সমাবেশ তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট মাহিগঞ্জ কলেজ মাঠে সভা করতে বাধ্য করা হয় । কিন্তু শত বাধা ও হামলা সত্বেও লক্ষাধিক হিন্দু আজকের রংপুরের সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন । বহু মানুষ কলেজ মাঠ পর্যন্ত পৌঁছতে পর্যন্ত পারেনি । কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে তারা তাদের প্রিয় ইসকন পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীর বক্তব্য মন দিয়ে শুনেছেন ।
https://x.com/HinduVoice_in/status/1859931567440949649?t=zWI5ebK2RyfbDGiS_XIlJg&s=19
দাবি গুলি যথাক্রমে
1 একটি ফাস্ট-ট্র্যাক ট্রাইব্যুনাল গঠন: সংখ্যালঘু নিপীড়নের অপরাধীদের দ্রুত বিচারের জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা, অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
2 সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য একটি আইনের অবিলম্বে বাস্তবায়ন।
3 একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্বেগগুলি সমাধানের জন্য একটি নিবেদিত মন্ত্রণালয় গঠন করুন।
4 ধর্মীয় ট্রাস্টের আপগ্রেডেশন: হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে “হিন্দু ফাউন্ডেশন”-এর মর্যাদায় উন্নীত করুন এবং একইভাবে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করুন।
দেবোত্তর সম্পত্তির জন্য 5 আইন: দেবোত্তর (সম্পদপ্রাপ্ত) সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের জন্য আইন প্রণয়ন করুন এবং অর্পিত সম্পত্তি ফেরত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন।
6 শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপাসনার সুবিধা: সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য উপাসনার স্থান তৈরি করুন এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ করুন।
7 সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের আধুনিকীকরণ: সংস্কৃত ও পালি শিক্ষার জন্য দায়ী বোর্ডকে হালনাগাদ ও আধুনিকীকরণ করা।
8 ধর্মীয় উত্সবগুলির জন্য পর্যাপ্ত ছুটি: দুর্গাপূজার সময় পাঁচ দিনের ছুটি মঞ্জুর করুন এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উত্সবগুলির জন্য প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করুন৷
Facebook Comments