টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত এশিয়ার সেরার মুকুট হাসিল করলো টিম ইন্ডিয়া। সপ্তমবার এশিয়া কাপ জয়ের কৃতিত্ব গড়লো রোহিত বাহিনী। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শুক্রবার বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারালো ভারত। ম্যাচ গড়ালো শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে সিঙ্গল নিয়ে ভারতকে ম্যাচ জেতালেন কেদার যাদব। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল রোহিত শর্মাদের হয়তো খালি হাতে দেশে ফিরতে হবে।
খাতায় কলমে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে খেলতে নেমেছিল ভারত। অন্যদিকে, ম্যাচের শুরু থেকে আন্ডারডগ তকমাটা নিজেদের থেকে সরাতে মরিয়া ছিল বাংলাদেশের ছেলেরা। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুর দিকে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটে বাংলাদেশ করে ১২০ রান। মেহেদি হাসান ও লিটন দাসের জুটি ভাঙেন কেদার যাদব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। ব্যক্তিগত ১২১ রানে লিটন দাস আউট হন। তাঁকে ফেরান কুলদীপ যাদব। লিটন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ৪৮.৩ ওভারে ২২২ রান করে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে ৩টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ২টি উইকেট নেন কেদার যাদব। ১টি করে উইকেট নেন বুমরাহ ও চাহাল।
জয়ের জন্য ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম দিকে কোনও বড় রানের পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারেনি ভারত। শিখর ধাওয়ান ১৫ রান, রোহিত শর্মা ৪৮ রানে আউট হন। তিনে নেমে রায়াডু (২) ব্যর্থ হন। ধোনি ও দীনেশ কার্তিক (৩৭) জুটিও সাফল্য পায়নি। ধোনির আউটের পর কেদার যাদব যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ভারত তখন জয় থেকে ৫৫ রান দূরে, হাতে পাঁচ উইকেট। ভুবি (২১), জাদেজার (২৩) মধ্যে একজনকে আউট করতে পারলেই প্রথমবার এশিয়া কাপ জিততে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ফারাক গড়া একটা ইনিংস খেলে গেলেন। জাদেজার আউটের সময় ভারতকে করতে হত ১১ রান। জাদেজার আউটের পর ফের ক্রিজে নামেন কেদার যাদব। ভারতকে জিততে হলে শেষ ওভারে করতে হত ৬ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। ক্রিজে দুই যাদব কেদার ও কুলদীপ। শেষ বলে আসে কাঙ্খিত জয়। তিনবার রানার্স হয়েই মাঠ ছাড়েন মোতার্জা-মুশফিকুরা। ম্যাচ না জিতলেও অনবদ্য সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা হন লিটন দাস। টুর্নামেন্টের সেরা হন শিখর ধাওয়ান।
ছবি সৌজন্যেঃ টিম ইন্ডিয়া ফেসবুক
Facebook Comments