“ঢুন্ডনে সে ভগবান ভি মিল যাতা হ্যায়, যো মিলা হ্যায় সায়াদ ওহি ঢুন্ডা হোগা সোচ কে দেখো।” খুব সত্যি কথা তাইনা। ইমতিয়াজ আলি। যার ছবির অলিগলি টে জীবনের ওঠাপড়া। জীবনকে নানা রঙেই দেখতে ভালবাসেন তিনি। তাই ইউরোপের ট্যুর গাইড হ্যারি খুজে পায় সেজলকে। সেজল ইউরোপ আসে এনগেজমেন্ট এর পর। আর তারপরেই আসে সমস্যা। নতুন দেশে এসে সেই রিং হারিয়ে ফেলে সেজল। সেজল এর সঙ্গী হয় ট্যুর গাইড হ্যারি। ইমতিয়াজের ছবিতে বারবার ফিরে ফিরে আসে জীবনের শেড। কখন সামনে এগিয়ে যাওয়া তো বেশ কিছু ধাপ পিছিয়ে আসা। এই ভাবেই এগিয়ে তাঁর জীবন। “যাব হ্যারি মেট সেজল” এর গল্পটাও খানিকটা তাই। কিন্তু ছবির প্রথম্ন অংশে যতটা টান অনুভব করা জাচ্ছিল পরের দিকে সেটা কোথায় হারিয়ে যেতে থাকে। সেজলের চলে যাওয়া পড়ে ফিরে আসা, কেন! এই প্রস্ন থেকে যায়। লোকেশন আর ক্যামেরার কাজ বেশ কিছুটা ওপরের দিকে নিয়ে যায় আবার পরক্ষনেই অকারন দীর্ঘ করা ছবিতে একঘেয়েমি নিয়ে আসে। শাহরুখ খান এবং অনুস্কা শর্মা ঝকঝকে অভিনয়। কিন্তু কিছু সময় অনুস্কা হারিয়ে যাচ্ছিল।তবে এই ছবির কিছু দৃশে বাংলাভাষীদের যে ভাবে ক্রিমিনাল সাজানো হয়েছে, তাতে বাঙালিদের কি মনে হতে পারে সেটা নিয়ে প্রশ্ন রইল। ইমতিয়াজ আলির শেষ, আর শুরুর গলক ধাঁধা তৈরি করতে ভালবাসেন। তবে তাঁর এই ছবি কিছুটা তাঁকে পিছনে ফেলে দেবে বলে মনে হচ্ছে।
Facebook Comments