গতকালই ডোমেস্টিক ভয়েস কলের জন্য ইন্টারকানেক্ট ইউসেজ চার্জ (IUC) বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের টেলিকম পরিষেবা নিয়ন্ত্রক TRAI। এই কারণে, বছরের শেষ দিনে ভারতের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর Reliance Jio ঘোষণা করেছে যে গ্রাহকদের Jio ব্যতীত অন্য নেটওয়ার্কে ফোন কল করার দরুন অতিরিক্ত খরচ করতে হবেনা। আজ অর্থাত্ ১লা জানুয়ারি থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকরী হচ্ছে, যার ফলে জিও সিম ইউজাররা আগের মতই যেকোনো নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিংয়ের সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রে যারা গতকাল অবধি কোনো নির্দিষ্ট প্ল্যান রিচার্জ করেছেন, তাদের জন্যও কলিং লিমিট তুলে নিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু একই সাথে নিজের টপ-আপ ভাউচারগুলিতে কিছু সংশোধন করেছে মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন টেলিকম কোম্পানিটি।
২০১৯ সালে ভয়েস কলের ওপর ৬ পয়সা প্রতি মিনিট আইউসি চার্জ বসিয়ে গ্রাহকদের সমালোচনার মুখে পড়েছিল জিও। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংস্থাটি তার টপ-আপ ভাউচারগুলির সাথে নির্দিষ্ট ডেটা সরবরাহ করা শুরু করে। এর ফলে, উল্লিখিত সময় থেকে এতদিন অবধি ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার টপ-আপ ভাউচারগুলির সাথে যথাক্রমে ১ জিবি, ২ জিবি, ৫ জিবি, ১০ জিবি, ৫০ জিবি এবং ১০০ জিবি কমপ্লিমেন্টরি ৪জি ডেটা পাওয়া যেত। কিন্তু আজ থেকে এই ভাউচারগুলির সাথে কোনোরকম ডেটা দেবেনা জিও, সেক্ষেত্রে টপ-আপ প্ল্যানগুলি রিচার্জ করলে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট টকটাইম পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে, গত বছর মার্চ মাসে সংস্থাটি তার ৪জি ডেটা ভাউচারগুলির সাথে অফ-নেট কলিংয়ের জন্য কিছু ফ্রি মিনিট সরবরাহ করছিল। কিন্তু এখন থেকে এই ডেটা ভাউচারগুলির সাথে কেবল অতিরিক্ত ডেটা পাওয়া যাবে। সুতরাং, জিও গ্রাহকরা আগের মতই চারটি ডেটা ভাউচার (১১ টাকা, ২১ টাকা, ৫১ টাকা এবং ১০১ টাকা) বিকল্প হিসেবে পাবেন যাতে ৮০০ এমবি, ২ জিবি, ৬ জিবি এবং ১২ জিবি ইন্টারনেট ডেটা পাওয়া যাবে, কিন্তু এর সাথে কোনো অফ-নেট কলিংয়ের সুবিধা থাকবেনা।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, গ্রাহকরা এই টপ-আপ বা ডেটা ভাউচারগুলি অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রিডম্ বা ব্যবহার করতে পারবেন এবং এগুলিতে অ্যাক্টিভ বেস প্ল্যানের সমসাময়িক ভ্যালিডিটি পাবেন। এই সুবিধার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনেনি জিও।
Facebook Comments