২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার এক্স-এ পোস্টে জারি করা বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করে এই তথ্য দিয়েছেন।
পাশাপাশি কংগ্রেসকেও তীব্র আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২৫ জুন ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পরের দিন ২৬ জুন রেডিওতে দেশের জনগণকে এটি জানিয়েছিলেন।
https://x.com/AmitShah/status/1811710314901307552
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, “১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর স্বৈরাচারী মানসিকতার পরিচয় দিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ভারতীয় গণতন্ত্রের আত্মার গলা টিপে দিয়েছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই লক্ষ লক্ষ মানুষকে জেলে ঢোকানো হয় এবং সংবাদমাধ্যমের আওয়াজ চাপা দেওয়া হয়। ভারত সরকার প্রতি বছর ২৫ জুন’কে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার নির্নয় নিয়েছে। এই দিন সেই সব লোকেদের বিরাট যোগদানের স্মরণ করাবে, যাঁরা ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার অমানবিক কষ্ট সহ্য করেছেন।”
অন্য আরেকটি পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি-র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা গৃহীত এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল সেই লক্ষ লক্ষ লোকেদের সংঘর্ষের সম্মান করা, যাঁরা স্বৈরাচারী সরকারের অগণিত অত্যাচার ও নিপীড়নের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সংগ্রাম করেছেন। ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে গণতন্ত্রকে রক্ষা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর শিখাকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করবে, যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এটি পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।”
https://x.com/AmitShah/status/1811710186522034437
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর এই সিদ্ধান্ত ভারতের ইতিহাসে বেশ বিতর্কিত। জরুরি অবস্থার সময় অনেক কিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সংবাদপত্রের ওপর সেন্সরশিপ আরোপের পাশাপাশি নাগরিকদের স্বাধীনতাও সীমিত ছিল।
জরুরি অবস্থার সময় বিরোধী দলের বড় নেতারা কারারুদ্ধ থাকলেও একতা দেখান। অনেক বিরোধী নেতা রাস্তায় নেমে রাষ্ট্রপতি ভবন ঘেরাও করেন, যাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পর, ১৯৭৭ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ইন্দিরা গান্ধীকে পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। সে সময় ইন্দিরা গান্ধী নিজেই রায়বরেলি থেকে নির্বাচনে হেরেছিলেন।
Facebook Comments