সিনেমার শুরুতে সেই চেনা সুর “এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়”। শুনলেই এখন আমাদের এক্সপেকটেশন মাথায় চড়ে বসে। মুক্তি পেল প্রোডিউসার নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং ডিরেক্টর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, উইন্ডোজ ও গণপতি প্রোডাকশান এর “প্রজাপতি বিস্কুট”। নামটাই অন্য সিনেমার থেকে এই সিনেমাকে আলাদা করে দেবে। একবার মাথায় আসবে “এই নাম হওয়ার কারন কি!” একেবারে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার তো ছবির গল্প টা কি নিয়ে! গল্পটাও একেবারে সাধারন। নতুন বিয়ে হয়েছে আপনার? বা এই কয়েক বছর হল? তাহলে আপনি ব্যাপারটা ভালই বুঝবেন। সিনেমায় গল্প শুরু বাড়িতে কার্ত্তিক ঠাকুর ফেলা নিয়ে। পাড়ার কয়েকজন ছেলে মিলে মজার জন্য বাড়ির সামনে রেখে যায় এই ময়ূর বাহন দেবকে। আর গলায় ঝোলানো নতুন মা বাবার উদ্দেশে “আমি তোমার খোকা, আমায় নাও গো তুলে, বাপ-মায়ের নামটি লিখে ভর্তি হব স্কুলে”। মজার এই ছড়া নিয়েই কার্ত্তিক ঠাকুর তো হাজির। তারপর কি হল? তারপরেই শুরু হল অন্য ঘটনা। একেক জন তাদের আলাদা মত পেষণ করতে থাকল। আর সেই মত শুনেই গল্পের নায়ক নায়িকা কিংবা নব বিবাহিত জুটি একেবারেই ধরাশায়ী। নতুন এই জুটি অন্তর (আদিত্য সেনগুপ্ত) ও শাওন (ইশা সাহা) অসাধারন কাজ করেছে । সন্তান না হওয়া এই আধুনিক জীবনেও অনেক বড় ঘটনা হয়ে দাঁড়ায় আজও। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা আঢ্য, রজতাভ দত্ত, রজত গাঙ্গুলি, শান্তিলাল মুখার্জি। অনেক দিন অভিনয় করতে দেখা যাবে সোনালী গুপ্তকে। ছবির গান ইতিমধ্যে জনপ্রিয়। পর্দায় দেখা যাবে অসাধারন সিনেমাটোগ্রাফি। উপরি পাওনা হিসেবে পাওয়া গেল আদিত্যকে। অসাধারন অভিনয়। ঈশার অভিনয়ও মনে থাকার মত। কার্ত্তিক পুজোতো হল কিন্তু শাওন আর অন্তর খুঁজছিল সেই জাহাজ, যাতে করে গেলে খুঁজে পাবে সাত রাজার ধন এক মানিক পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত পেল কি ওরা? জানতে হলে একবার উঁকি মারতে হবে বাড়িতে। ব্যস্ততা আর কাজের প্রেশারে এই ছবি একে বারে ফুর ফুরে মেজাজে আপনাকে হল থেকে বের করবে তা এখনই কথা দেওয়া যায়। পুজোর ছুটিতে চট করে খেয়ে নিন “প্রজাপতি বিস্কুট”।
Facebook Comments