আরজি করের তরুণী চিকিত্সকের নির্যাতনও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হল। ১১নভেম্বর থেকে শুরু হবে নিয়মিত শুনানি। শিয়ালদা আদালতে আজ সঞ্জয় রায়কে পেশ করা হয়। ৮৭দিনের মাথায় অভিযু্ক্তকে তোলা হয়। ৮৭ দিনের মাথায় চার্জ গঠন করা হয়েছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে।
শিয়ালদা আদালতে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। সোমবার সঞ্জয়কে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ ভ্যান থেকে সঞ্জয় রায় দাবি করে,সে নির্দোষ ,তাকে ফাঁসানো হয়েছে।সে আসল সত্যিটা জানাতে চায়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ কোর্ট আমার কথা শোনেনি। এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমার কোন কথা শোনেনি। আমাকে বিনা কারণে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমাকে সে কথাও বলতে দেয়নি আমাকে নিচে নামিয়ে দিল। আমার কথা শুনছে না। আমি এতদিন চুপ ছিলাম আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে, যে না তুমি কিছু বলবে না। ‘ এই দাবির পরই শোরগোল পড়ে। প্রশ্ন ওঠে,চিকিত্সক খুনও নির্যাতনের আসল সত্য কী তাহলে সঞ্জয় রায় এতদিন জানায় নি কেন?
সোমবার দুপুরেই শিয়ালদা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় অভিযুক্তকে। চারদিকে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। তার মাঝেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয় ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ধর্ষণ এবং খুনের একাধিক ধারায় ধৃত সিভিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় ওই মামলায় চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে।
সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়, সঞ্জয় রায়ই একও একমাত্র দোষী। দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়নি। তবে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আরও কারুর নাম আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।চার্জ গঠনের পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। আদালতে জানানো হয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ওই মামলায় শুনানি শুরু হতে চলেছে। শুনানি চলবে রোজ। আদালত সূত্রে খবর, বিচারকের সামনেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে একমাত্র অভিযু্ক্ত ধৃত ওই সিভিক।
Facebook Comments