নকশালবাড়ির এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’

তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার মারাত্মক তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক উদ্ধার। দার্জিলিং-এর নকশালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল নেতা ফ্রান্সিস এক্কার বাড়ি থেকে ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ নামের একটি অত্যন্ত মূল্যবান তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে। এই রাসায়নিকটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

এক গ্রামের দাম প্রায় ১৭ কোটি টাকা। পারমাণবিক চুল্লির মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।

তবে ফ্রান্সিস এক্কার বাড়ি থেকে মূল্যবান রাসায়নিক উদ্ধারের পর তা কীভাবে তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবার পুলিশ ও এনডিআরএফ দল যৌথ অভিযান চালিয়ে রাসায়নিক উদ্ধার করে। ফ্রান্সিস এক্কাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার সাথে সম্পর্কিত সূত্রগুলি জানিয়েছে যে কেবল রাসায়নিকই নয়, তার বাড়ি থেকে কিছু ডিআরডিও নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। এই ব্যক্তি কোনও চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এও প্রশ্ন করা হচ্ছে, নাশকতার বড় কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না?

সূত্রের খবর, ফ্রান্সিস এক্কা নেপাল সফরে ছিলেন। সম্প্রতি তার আচরণে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে, এবং প্রতিবেশীরাও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে। কিন্তু তৃণমূল নেতা হওয়ায় কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেনি। পুলিশ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে মিরিক থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান আর কে দাস। তিনি বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়াম খুবই সংবেদনশীল এবং বিপজ্জনক। কীভাবে এটি সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছেছে তা ভাবার মতো একটি প্রশ্ন। অত্যন্ত গোপনে এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এ ব্যাপারে কোথাও কোথাও বড় ধরনের গাফিলতি প্রকাশ পাচ্ছে। এটা দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।’

কয়েকদিন আগে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংও দাবী করেছিলেন যে তাকে খুন করার জন্য রাশিয়া থেকে রাসায়নিক আনা হয়েছিল। এই ঘটনার পর ফের মুখ খুললেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই প্রমাণ পাওয়া গেছে যে তৃণমূল অসাধু দলের সঙ্গে যুক্ত। এবার তা আরও একবার প্রমাণিত হল।’