🪔প্রয়াত শাঁওলি মিত্র, শোকস্তব্ধ বাংলা নাট্যজগত্‍

প্রয়াত হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র। তাঁর প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ বাংলা নাট্যজগত্‍। রবিবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর শেষকৃত্যের পর জানানো হয়েছে মৃত্যু সংবাদ। এটি ছিল এই নাট্যব্যক্তিত্বের শেষ ইচ্ছা। ক’দিন আগেই এমন ইচ্ছাপত্র তৈরি করেছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর যেন শেষকৃত্যের পরই যেন সকলকে জানানো হয়, এমনই জানিয়েছিলেন প্রিয়জনদের। তারই যথাযথ মর্যাদা রাখল তাঁর পরিবার।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। সিরিটি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ‘নাথবতী অনাথবত্‍’-খ্যাত শাঁওলি মিত্র। অনেকের মতে, শাঁওলি মিত্র তাঁর বাবা কিংবদন্তি নাট্য ব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন। কারণ ১৯৯৭ সালে শম্ভু মিত্রের প্রয়াণের খবর তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরেই জানানো হয়েছিল। তাঁর কন্যার ক্ষেত্রেও তাই ঘটল। ইচ্ছাপত্রে শম্ভু মিত্র এবং তৃপ্তি মিত্রের কন্যা লিখে গিয়েছিলেন, তাঁর প্রয়াণের পর মানস কন্যা অর্পিতা ঘোষ এবং উচ্চতম সড়ক চক্রবর্তী শেষকৃত্যের সমস্ত ব্যবস্থা করবেন। চেয়েছিলেন, মৃত্যুর পর কোনও ফুলভার তাঁকে যেন বইতে না হয়। সকলের আড়ালেই তাই পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন শাঁওলি মিত্র।

তাঁর মৃত্যু এককথায় বাংলা নাট্যজগতে ইন্দ্রপতন। ‘নাথবতী অনাথবত্‍’ ছাড়াও পদ্মশ্রী (২০০৯) শাঁওলি মিত্র কাজ করেছেন ‘গ্যালিলিও’র জীবন’, ‘ডাকঘর’, ‘কথা অমৃতসমান’, ‘হ-য-ব-র-ল’, ‘পুতুলখেলা’, ‘পাগলা ঘোড়া’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’, ‘চণ্ডালী’, ‘পাখি’ ইত্যাদি থিয়েটারে। ২০০৩ সালে তিনি প্রধান ‘সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি’ পুরস্কার। ২০১২ সালে পান ‘বঙ্গবিভূষণ’। ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো গপ্পো’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল শাঁওলি মিত্রকে। ২০১১ সালে তিনি রবীন্দ্র সার্ধশত জন্মবর্ষ উদ্‌যাপন সমিতির একজন চেয়ারপার্সন ছিলেন।