সন্দেশখালি মামলার তদন্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বড় ধাক্কা খেল মমতা সরকার। সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট সেই পিটিশনের ওপর প্রশ্ন তোলে এবং জানতে চায় রাজ্য সরকার কেন এই বিষয়ে আগ্রহী? সর্বোপরি রাজ্য সরকার কেন কাউকে বাঁচাতে চায়?
এর আগে ২৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছিল যে কোনও ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষা করতে রাজ্য সরকার কীভাবে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে? সে সময় আদালত বলেছিল, গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর মামলার শুনানি হবে।
সন্দেশখালিতে জমি দখল ও যৌন হয়রানির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
রেশন কেলেঙ্কারির মামলায় শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দল পৌঁছলে হাজার হাজার জনতা ইডি টিমের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার ৫৫ দিন পর শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুন, নারীদের যৌন হয়রানি, জমি দখল, ইডি টিমের ওপর হামলার মতো অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনার পরও সিবিআই সন্দেশখালিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এপ্রিল মাসে সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। সন্দেশখালি মামলার প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত আবু তালেবের দুটি স্থানে সিবিআই অভিযান চালায়। এই সময়ে সিবিআই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পর রাজ্য পুলিশ শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। শাহজাহানের হেফাজতের পাশাপাশি ইডি-র ওপর হামলার মামলাও সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।
Facebook Comments