বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় পুলিশের অভিযানের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। দুই বিজেপি নেতা পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার জন্য এবং পর্যাপ্ত তথ্য ও নথি ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন। বুধবার মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
মঙ্গলবার কোলাঘাটে শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি দল শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে কেশপুর থেকে সরাসরি কোলাঘাট থানায় পৌঁছান বিরোধী দলের নেতা। “অস্ত্র ও মাদক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে পুলিশ”, পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। হিরণের মতো তিনিও অভিযোগ করেন, পুলিশ সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে।
শুভেন্দুর বাড়িতে পুলিশের অভিযানের ২৪ ঘন্টারও কম সময় পরে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পিএ-র বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘাটাল ও খড়গপুর স্থানীয় থানার পুলিশের একটি দল হিরণে পিএ তমঘ্ন দে-র বাড়িতে যায়। খবর পেয়ে রাতেই হরিণ সেখানে পৌঁছে যান। পুলিশ ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।
একই সঙ্গে গভীর রাতে মেদিনীপুরে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সৌমেন মিশ্র এবং বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ অভিযানের কারণ জানায়নি। তবে, হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভে, কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক দাবী করেছেন যে প্রতারণার অভিযোগের তদন্তের জন্য এই অভিযান। আর এবার গোটা মেদিনীপুরে পুলিশের হামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন দুই বিজেপি নেতা।
Facebook Comments