রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ না’ স্লোগান তুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পরে, শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে স্পষ্টীকরণ দেন এবং তার কথায় ফিরে যান।
বিতর্কে জড়ানোর পরে, শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং বলেন যে, “প্রধানমন্ত্রী এবং ভারত সরকারের স্লোগান সবকা সাথ, সবকা সাথ, এটি এনডিএ সরকারের স্লোগান। এর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমাদের রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে বিজেপিকে হিন্দুদের দল বলে অভিহিত করেছেন। আমি আমার এলাকায় দেখেছি, প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক কাজ থেকে লাভবান হওয়া সত্ত্বেও বিজেপিকে হিন্দুদের দল বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আপনি কাকে ভোট দেবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আমরা কখনই বলিনি যে যারা ভোট দেবে না তাদের সেবা দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বুথ কর্মী হিসেবে এটাই বাংলার বাস্তবতা। এটা অস্বীকার করার সুযোগ ছিল না যে শুধুমাত্র হিন্দুরাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি। আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলেছি যে ভারত সরকারের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।”
লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করতে সায়েন্স সিটিতে রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি বলব না যে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, বন্ধ করুন। আমি জাতীয়তাবাদীকে মুসলিম বলব না, সংখ্যালঘু ফ্রন্ট চাই না। তৃণমূলের গুন্ডা ৫০ লক্ষ হিন্দুকে ভোট দিতে দেয়নি, কিন্তু এই কথা বলার সাথে সাথেই বিজেপির মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।”
তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমাদের সরকারের স্লোগান সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। যেহেতু এটি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। সেজন্য আমি আমার মতামত প্রকাশ করেছি। দয়া করে এর সাথে প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান যুক্ত করবেন না। গত লোকসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি এটা বলেছি।”
এদিকে, ‘জাতীয়তাবাদী মুসলিম’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন যে, “মাফুজা খাতুন থেকে মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী মুসলমানরা বিজেপি হিসাবে কাজ করছে। যেমন আমরা বলি। আমরা হিন্দুত্বের নামে ভোট চাই না, ভারতের উন্নয়নের নামে ভোট চাই। আমার প্রশ্ন হল সংখ্যালঘু ফ্রন্টের নামে এই বা ওই ফ্রন্ট খোলার প্রয়োজন আছে কি না?”
Facebook Comments