জনপ্রিয় অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। ‘মিতিনমাসি’, ‘ঈগলের চোখ’, ‘এবার শবর’ ছবির নির্মাতা তার ফাঁকা অফিসে ডেকে নাকি এই অভিনেত্রীর সঙ্গে অসভ্য আচরণ করে। রূপাঞ্জনার এই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন অরিন্দম। রূপাঞ্জনা মিত্রের অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অরিন্দমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন তার প্রথম স্ত্রী তনুরুচি শীল। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি। পরে তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। কিন্তু তরুরুচির দাবি, তার সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই শুক্লাকে অরিন্দম বিয়ে করেছে। এখানেই শেষ নয়।
তনুরুচি বলেন, ‘আমার সঙ্গে অরিন্দমের এখনো আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। ১৯৯২ সালে আমাদের সামাজিক বিয়ে হয়, ’৯৩ সালে রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু ২০০৩ সালে অরিন্দম ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা গত বছর খারিজ হয়ে গেছে। আমি অরিন্দম শীলের স্ত্রী। কিন্তু উনি আমাকে ঠকিয়েছেন। উনি এখন থাকেন শুক্লা দাসের সঙ্গে।’ একটি বেসরকারি সংস্থায় তনুরুচি ও শুক্লা এক সময় চাকরি করতেন। সেই সূত্রেই অরিন্দম-শুক্লার ঘনিষ্ঠতা হয় বলে দাবি তার। তনুরুচি আরও বলেন, ‘অরিন্দম আমাকে সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করেছে। বেলেঘাটায় আমাদের যৌথ ভাবে কেনা ফ্ল্যাট ছিল। সেটা দখল করে রেখেছে। ও তখন বাম সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিল। সেই জোরে আমাকে তাড়ায়। এখন তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছে সুবিধে পাবে বলে।’ সম্পত্তি থেকে বেদখল প্রসঙ্গে অরিন্দমের বক্তব্য, ‘কোর্টের বয়ান অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটে আমাদের দু’জনেরই মালিকানা রয়েছে। আমি কিনে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও কোর্টের দিন ফেল করে। চাইলে আমি কোর্টের সেই কাগজও দেখাতে পারি। আমার ব্যক্তিগত জীবন এই প্রসঙ্গে কেন উঠে আসছে জানি না। শুক্লা, মেয়ে সোনিকা আমার সব কিছু, এটুকু বলতে পারি।’ শোনা যাচ্ছে, তনুরুচির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথা ভাবছেন অরিন্দম।
Facebook Comments