এবার নিজেদের দাপ্তরিক ডিভাইসে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। চীনা মালিকানাধীন এই অ্যাপ বিভিন্ন সরকারী ফোনে ব্যবহারে বাধা দেবে দেশটির সরকারী সংস্থা ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’– এমনই উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় কমিশনও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে এরইমধ্যে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে, ভারতের মতো বিভিন্ন দেশে অ্যাপটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এর আগে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুগেনধাতও এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, টিকটকের চীনা মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্স প্ল্যাটফর্মটি বিক্রি না করলে তারা অ্যাপটি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে পারে।
অন্যান্য দেশে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ায় যুক্তরাজ্য নিজেও চাপের মুখে ছিল এবং শেষ পর্ন্ত তারা সরকারী ডিভাইসগুলোর বেলায় নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির ক্যাবিনেট দপ্তরের মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন নতুন এই নিষেধাজ্ঞার বিস্তারিত ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবারেই।
যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশ থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, টিকটকের চীনা মালিকানা একটি শঙ্কার বিষয়। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশগুলো।
সমালোচকরা যুক্তি দেখাচ্ছেন, বাইটড্যান্সের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডেটা চীনা সরকারের কাছে স্থানান্তরিত হয়, এমন শঙ্কাও রয়েছে। আর বিভিন্ন দেশের সরকার বলেছে, এর ফলে পশ্চিমা নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
টিকটক বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত এসেছে ‘ভুলভাবে উপস্থাপিত ভয় ও ভূরাজনীতির’ ভিত্তিতে। কোম্পানিটি আরও বলছে, যুক্তরাজ্য এমন পদক্ষেপ নিলে তারা ‘হতাশ’ হবে। এর পাশাপাশি, চীনা সরকারের কাছে ব্যবহারকারীর ডেটা পাচারের অভিযোগও জোর দিয়ে নাকচ করেছে কোম্পানিটি। এর আগে টিকটকের ব্যবহার নিয়ে তুলনামূলক ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য। এমনকি ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ গ্রান্ট শাপসের পাশাপাশি প্রযুক্তি মন্ত্রী মিশেল ডনেলানও নিয়মিত প্ল্যাটফর্মটিতে পোস্ট করেন।
Facebook Comments